আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর বলেছেন, ২০১৩ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। সে সময় ইউক্রেনে রুশপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণ-আন্দোলন হয়।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রসিকিউটর করিম এ এ খান বলেছেন, কানাডা, ফ্রান্সসহ রোম সংবিধির পক্ষে থাকা ৩৯টি দেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তদন্ত শুরু করেছে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর এক সপ্তাহ পর যখন পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর একের পর এক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, ঠিক এই সময় আইসিসির প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হলো।
তবে গত সোমবারই তিনি তদন্ত শুরু করার ইচ্ছা জানিয়ে বলেন, সংঘাতের সময় যুদ্ধাপরাধ হয়েছে এমনটা বিশ্বাস করার ‘যুক্তিসংগত ভিত্তি’ থাকে।
এর আগে খান যুদ্ধরত সব পক্ষকে সতর্ক করেছেন। বিশেষ করে ইউক্রেনের ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এখতিয়ার রয়েছে। কারণ ইউক্রেন সরকার ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে স্বাক্ষরকারী দেশ, যদিও দেশটি প্রথমদিকে রোম সংবিধির পক্ষে ছিল না।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত, হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক আদালত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত ও বিচার করে থাকে।
এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে খেরসন শহর দখলে নিয়েছেন রুশ সেনারা। হামলা চলছে কিয়েভ, খারকিভসহ ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলোতে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা প্রায় ৬ হাজার রুশ সেনা হত্যা করেছে। যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের ৪৯৮ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক স্থাপনা হামলার অভিযোগ এনেছে ইউক্রেন। রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, বেসামরিক কোনো স্থাপনাকে তারা লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে না।
ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে। তবে বিধিনিষেধ পিছু হটাতে পারছে না রাশিয়াকে।
পিএসএন/এমঅাই