ইউক্রেনকে দেয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ কিনতে রাজি হয়েছে ইইউ-এর দেশগুলো। স্থানীয় সময় বুধবার স্টকহোমে ইইউ-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, গোলাবারুদ কেনার জন্য ইইউ-র দেশগুলো একশ কোটি ইউরো আর্থিক সাহায্য পাবে। এ ছাড়া যৌথভাবে গোলাবরুদ কেনার জন্যও তারা একশ কোটি ইউরো সাহায্য পাবে।
বরেল জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে সাধারণভাবে গোলাবারুদ কেনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এখনো বেশ কিছু প্রশ্ন আছে। আমরা আবার আলাপ করব। সেখানে বিস্তারিতভাবে কথা হবে।’
আগামী ২০ মার্চ ইইউ-র পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই প্রস্তাব প্রথমে দিয়েছিল এস্তোনিয়া। তারপর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ ইইউ-এর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাদের যেন দশ লাখ ১৫৫এমএম গোলা দেয়া হয়। যার দাম চারশ কোটি ইউরো।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ও পাল্টা আঘাত হানার জন্য এই গোলাবারুদ দরকার বলে তিনি দাবি করেছেন। বরেল যে পরিকল্পনা করেছেন, তাতে ইউক্রেন যে পরিমাণ গোলাবরুদ চেয়েছিল তার অর্ধেক দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এটাও নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মার্কিন স্পিকারকে আমন্ত্রণ জেলেনস্কির
মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ম্যাকার্থিকে ইউক্রেনে আসার আমন্ত্রণ জানালোন জেলেনস্কি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীলরা ইউক্রেনকে সাহায্য করার ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।
এরপরেই সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ম্যাকার্থি একবার এসে দেখুন আমরা কীভাবে কাজ করছি? যুদ্ধের ফলে আমাদের কী অবস্থা হয়েছে? দেশের মানুষ কীভাবে লড়ছেন? এরপর তিনি তার মতামত জানান।’
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, স্পিকার ম্যাকার্থি কখনোই ইউক্রেন বা কিয়েভে আসেননি। তিনি যে পদে আছেন, তাতে তার একবার ইউক্রেন আসা জরুরি।’
ম্যাকার্থি জবাবে বলেছেন, পরিস্থিতি বোঝার জন্য তার ইউক্রেনে যাওয়ার দরকার নেই। তিনি ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিরোধী নন। তবে বারবার মার্কিন কংগ্রেস ব্ল্যাংক চেক দেবে এটা হয় না। আগে সবকিছু বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।
মিগ ২৯ দিতে চায় পোল্যান্ড
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনকে অবিলম্বে মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান দিতে প্রস্তুত। এই যুদ্ধবিমানগুলো সাবেক সোভিয়েত আমলের। সাবেক পূর্ব জার্মানির স্টক থেকে তা পোল্যান্ডকে দেয়া হয়েছিল।
ডুডার জানান, এই যুদ্ধবিমানগুলো এখনই ব্যবহার করতে পারবেন ইউক্রেনের পাইলটরা। পাশাপাশি তাদের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান চালাবার প্রশিক্ষণ দেয়া হোক। পোল্যান্ডে ৩০টি মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান পূর্ব সীমান্তে মোতায়েন করা আছে।
এরই মধ্যে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাশিয়া আরো লম্বা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা মনে করছেন, এই বছর রাশিয়া ইউক্রেনের খুব বেশি জমি অধিকার করতে পারবে না। ফলে দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা নেই।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।