স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আওয়ামী লীগের নেওয়া বিশেষ উদ্যোগগুলো বিএনপির সময় থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রোববার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ৮ বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সরকারপ্রধান বলেন, এদেশের মানুষের জন্য শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন। সেই অবস্থাতেও তিনি স্বাস্থ্যসেবাটা যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নেন। তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, প্রতি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হবে এবং সেভাবে তিনি প্রায় ৩৭৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে চিকিৎসা সেব জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিই, কীভাবে এদেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থসেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। সেটা চিন্তা করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগা নিয়েছলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়ার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যদি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু থাকে, তবে ওই অঞ্চলের সব মানুষ নৌকায় ভোট দেবে। অর্থাৎ তাদের কাছে রাজনৈতিক স্পৃহাটাই বড় ছিল, মানুষের সেবাটা না! যাই হোক, পরে আমরা সরকারে এসে আবার তা চালু করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো ৯৬ সালে স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করি। কারণ অধিক জনসংখ্যার দেশে একটি নীতিমালা থাকা দরকার।
এ সময় ওমিক্রনের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বলেন, ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে টিকাদন কর্মসূচি জোরদারসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো টিকা নেওয়ার জন্য। টিকা নেওয়ার ফলে অন্তত আপনার জীবনটা রক্ষা পাবে। করোনা আক্রান্ত হলেও হয়ত কিছুদিন ভুগতে হবে, তবে জীবনটা রক্ষা পাবে। তাই আপনারা ভয় না পেয়ে টিকা গ্রহণ করুন।
পিএসএন/এমঅাই