পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করো যখন পরস্পর অঙ্গীকার করো এবং তোমরা আল্লাহকে তোমাদের জামিন করে শপথ দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ কোরো না। তোমরা যা করো নিশ্চয়ই আল্লাহ তা জানেন। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯১)
আল্লাহর জামিন হওয়ার অর্থ হলো তিনি মুমিনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তাকে পার্থিব ও অপার্থিব জীবনের যাবতীয় বিপদ থেকে রক্ষা করেন। আল্লামা ইবনে জারির তাবারি (রহ.) উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘তোমরা পারস্পরিক অঙ্গীকার পূরণের মাধ্যমে আল্লাহকে তোমাদের অভিভাবক নিযুুক্ত করো।
তোমরা যদি নিজেদের অঙ্গীকার পূরণ করো, তবে আল্লাহও অভিভাবক হওয়ার ব্যাপারে তাঁর অঙ্গীকার পূরণ করবেন। ’ (তাফসিরে তাবারি : ১৪/৩৩৮)
আল্লামা হালিমি বলেন, এই আয়াতে আল্লাহ মুমিনদের বিশেষ জামানত বা নিরাপত্তা দানের কথা বলেছেন। নতুবা সৃষ্টিজগতের প্রতিটি সৃষ্টির জন্যই মহান আল্লাহ জামিন। কেননা আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ না থাকলে কোনো সৃষ্টিরই অস্তিত্ব টিকত না। আল্লাহই সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং টিকে থাকার উপায়-অবলম্বন দান করেন। আল্লাহর গুণবাচক নাম ‘কাফিল’ এই ব্যাপকতাই দাবি করে। (আল-মিনহাজু ফি শুআবিল ঈমান : ১/২০৪)
তাফসিরবিদরা আল্লাহর গুণবাচক নাম ‘কাফিল’ শব্দের চারটি অর্থ করে থাকেন। তা হলো—১. ‘ওয়াকিল’ বা অভিভাবক, ২. ‘হাফিজ’ বা রক্ষাকারী, ৩. ‘শাহিদ’ বা প্রত্যক্ষকারী, ৪. ‘জামিন’ বা দায়িত্ব গ্রহণকারী। তাঁরা আরো বলেন, কাফিলের উল্লিখিত সব অর্থই আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য এবং তাঁর ব্যাপারে সত্য।
পিএসএন/এমআই