ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজিকর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দিন ধার্য করেছে দেশটির এক আদালত। এই ঘটনার একমাত্র দোষী হিসাবে ধরা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) সাজা ঘোষণা হবে এই মামলায়। গত বছরের ৯ আগস্ট এই খুনের ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজিকর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দিন ধার্য করেছে দেশটির এক আদালত। এই ঘটনার একমাত্র দোষী হিসাবে ধরা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) সাজা ঘোষণা হবে এই মামলায়। গত বছরের ৯ আগস্ট এই খুনের ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করে।
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ে চার্জশিটে বলা হয়েছে, সঞ্জয় একাই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করে।
এছাড়া ভিসেরা রিপোর্ট, টক্সিলজি রিপোর্ট, লেয়ারড ভয়েস অ্যানালিসিসের মতো বিভিন্ন প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে সঞ্জয়কে মূল অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্যপ্রমাণে সন্তুষ্ট বলে জানান বিচারক।
সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, তরুণী চিকিৎসকের যে ডিএনএয়ের নমুনা পাওয়া গিয়েছে, তা সঞ্জয়ের সঙ্গে মিলেছে। ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন তরুণী। আর সঞ্জয়ের শরীরে সেরকম পাঁচটি আঘাতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অপরাধস্থল থেকে যে চুল উদ্ধার করা হয়েছে, তাও সঞ্জয়ের বলে প্রমাণ মিলেছে।
তাছাড়াও ফোনের টাওয়ার লোকেশন, ব্লুটুথ ডিভাইসের মতো বিষয় থেকেও ঘটনাস্থলে সঞ্জয়ের উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়।
এর আগে আলোচিত এই মামলার নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে না পারায় সেদিন ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার সাবেক ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যান।
সেই ঘটনায় চরম উষ্মা প্রকাশ করেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা এবং সাধারণ মানুষও। অবশেষে এই মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হল। তবে সঞ্জয় ছাড়া আর কেউ কি ঘটনায় যুক্ত ছিল? এই প্রশ্ন অনেকের।