মস্তিষ্কের গঠন ও বিকাশে আয়োডিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে আয়োডিনের অভাবে গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। আয়োডিন একটি অপরিহার্য খনিজ। কেবল মানুষেরই নয়, গবাদি পশুরও আয়োডিন দরকার। কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তরকারি রান্নার সময়ে ধাপে ধাপে লবণ দিতে হবে, একবারে নয়। আয়োডিনযুক্ত লবণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যে লবণের পরিমাণ সীমিত রাখা ভালো। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
আজ (সোমবার) দুপুরে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিশ্ব আয়োডিন দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় অতিথিরা একথা বলেন। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বুদ্ধিদীপ্ত থাকতে চাই, আয়োডিনযুক্ত লবণ খাই’।
খুলনা বিসিক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান। বিসিক জেলা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ গোলাম সাকলাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ব্যবস্থাপক তাহেরা নাসরীণ। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল (এনআই) এর জোনাল কো-অর্ডিরনটর মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানে খুলনা বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক মোঃ মনির হোসেন, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম তরফদার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব, সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও লবণ মিল মালিক প্রতিনিধি সজীব কুমার পাল বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আয়োডিনের অভাবে অকাল গর্ভপাত, মৃতসন্তান প্রসব, প্রসবকালীন শিশু মৃত্যু, বুদ্ধিহীনতা, গলগন্ড, বামনত্ব, বিকলাঙ্গ, হাবাগোবা, মানসিক বুদ্ধিমত্তা হ্রাস, বোবা, কানা ও টেরা হতে পারে। আয়োডিনের দৈনিক চাহিদা শূন্য থেকে ৫৯ মাস বয়স ৯০ মাইক্রোগ্রাম, ৬ থেকে ১২ বছর ১২০ মাইক্রোগ্রাম, ১২ বছর এর অধিক ১৫০ মাইক্রোগ্রাম এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীদের ২০০ মাইক্রোগ্রাম।