ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের, লেখা হলো না প্রোটিয়া বধ রূপকথা। চেষ্টা করেও ভাগ্য বদলাতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। খুব কাছে গিয়েও পুড়তে হলো আক্ষেপের অনলে। তাতে আবারও বাড়লো দক্ষিণ আফ্রিকাকে টি-টোয়েন্টিতে হারানোর অপেক্ষা।
নাসাও কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে টাইগার বোলাররা প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটে ১১৩ রানে আটকে দিলেও হতাশ করেন ব্যাটাররা। ১০৯ রানে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস, ৪ রানের আক্ষেপে পুড়ে বাংলাদেশ।
তবে এসব কিছুর ঊর্ধ্বে ম্যাচে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাওহীদ হৃদয়। এবং দলের হারের পিছনে আম্পায়ারের এমন ভুল সিদ্ধান্তকে প্রভাবক হিসেবে স্বীকার করেছেন।
ম্যাচের সপ্তদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদউল্লাহর সামনের প্যাডে আছড়ে পড়ে একটি বল। আউট দিয়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। ডিআরআস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেন রিয়াদ। রিভিউয়ে দেখা যায় যে বলটা স্টাম্পে লাগছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পালটে নেন তৃতীয় আম্পায়ার।
কিন্তু অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দেওয়ায় বলটা রিয়াদের প্যাডে লেগে বাউন্ডারিতে চলে গেলেও চার রান পায়নি বাংলাদেশ। যে চারটি রান বাংলাদেশ পেয়ে গেলে ১৯ তম ওভারেই সম্ভবত খেলা শেষ হয়ে যেত। শেষের দিকে যে চাপ তৈরি হয়েছিল, সেটাই হত না। হৃদয়ের কন্ঠেও বাজে এমন সুর।
ম্যাচ শেষে হৃদয় বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটা মেনে নেওয়া কঠিন। ঐ ৪ রান ম্যাচের দৃশ্য বদলে দিত। আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’
এমন আইসিসির নিয়মে অসন্তোষ আছে অনেকেরেই। তবে হৃদয়ের নেই, কিন্ত তিনি চান আম্পায়ারিংয়ে উন্নতি। হৃদয়ের মতে, ‘নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ঐ ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি।’
‘এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ঐ ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়মে আমাদের হাত নেই।