পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে হামলা করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার ঘৃণা প্রকাশের ভাষা নেই। এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাদরাসাপড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের, যা অত্যন্ত অমানবিক। আমরা আধ্যাত্মিক ও রুহানি আলেম দেখতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি হেফাজতে ইসলামের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ধ্বংস কেন? দেশ আমাদের সবার। দেশের সম্পদ ধ্বংস করে রাজনীতি করবেন কীভাবে? আগে হুজুররা রিকশায় চড়তে পারতেন না। এখন বড় হুজুরদের গাড়ি আছে। অনেকে হেলিকপ্টার হুজুর হিসেবেও পরিচিত।’
আইজিপি আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ধরনের নৃসংশতা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সম্পত্তি। এখানে কেন হামলা করা হলো, সেটা আমার বোধগম্য নয়। ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে দেড় থেকে দুশ বছরের পুরোনো রেকর্ড রয়েছে। ফলে ভূমি অফিসের আওতায় বসবাসকারীরা অন্তত ৫০ বছর দুর্ভোগে পড়বেন।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা মামলা করুন, অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় আইজিপির সঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান ও পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ হেলিকপ্টারযোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পৌঁছান। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, পৌরসভা, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ হেফাজতকর্মীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।