দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে কোনো দলই আফগানিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয় না। তাই কখনও বা ভারতের নয়ডা, কখনও বা দেরাদুন, লক্ষ্ণৌ ঘুরে হোম ম্যাচ খেলতে হয়েছে রশিদ লতিফদের।
মাঝে আরব আমিরাতের আবুধাবিতেও হোম টেস্ট খেলেছেন আফগানরা। কিন্তু এভাবে আর কত দিন, অবশেষে আবুধাবিকেই ‘সেকেন্ড হোম’ বানিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তান।
এখন থেকে আগামী পাঁচ বছর আবুধাবির মাঠেই নিজেদের সব হোম ম্যাচ খেলবে তারা। গতকাল আবুধাবি ক্রিকেট অ্যান্ড স্পোর্টস হাবের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আফগান ক্রিকেট বোর্ডের। যেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের ট্রেনিং থেকে শুরু করে ‘এ’ দল এবং জাতীয় দলের সব ম্যাচে আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু হবে আবুধাবি।
‘কয়েক বছর ধরেই আফগানিস্তানের ম্যাচ আমরা আয়োজন করে আসছি আমাদের মাঠে। তবে এবার এই চুক্তির পর আমরা বলতেই পারি আবুধাবি হচ্ছে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বাড়ি।’ বিবৃতিতে আবুধাবি ক্রিকেট অ্যান্ড স্পোর্টস হাবের প্রধান ম্যাট বাউচার এভাবেই নিজেদের খুশির কথা জানান।
দুবাই, আবুধাবি ছাড়াও শারজাহ; এই মুহূর্তে আরব আমিরাতে তিনটি আন্তর্জাতিক ভেন্যু রয়েছে। সেখানে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড তাদের নিজেদের জন্য দুবাই আর শারজাহকে হাতে রেখেছে। আবুধাবি ছেড়ে দিয়েছে আফগানিস্তানের জন্য। এমনিতে আফগান দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই দুবাই ও আবুধাবিতে বাসা ভাড়া করে থাকেন। তাই তাদের জন্যও এই ভেন্যুর স্বীকৃতি খুশির খবরই বটে।
২০২৯ সাল পর্যন্ত আবুধাবিতে সব ধরনের ট্রেনিং ক্যাম্প করতে পারবেন তারা। আফগান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নাসিব খান জানান, এখন চুক্তি তাদের ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। ‘আবুধাবিতে যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, তা আফগান ক্রিকেটের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে। এখানে শুধু জাতীয় দলই নয়, বয়সভিত্তিক দলের ট্রেনিং ক্যাম্পও হবে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাব আমরা এখানে।’