২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনকে অবৈধ ঘোষণা করে আইসিসি। পরবর্তীতে অ্যাকশন বদলে ফিরে আসেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার। ৯ বছর পর আবার তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বোলিংয়ের পরীক্ষা দিতে হবে সানিকে। অর্থাৎ চলতি বিপিএলে বোলিং পরীক্ষা না দিলেও চলবে তার। বিপিএলের ফাইনাল শেষ করে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই স্পিনার।
বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান জানিয়েছেন, সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে প্লে-অফের আগেই। দেশের একটি গণমাধ্যমে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান রকিবুল বলেন, ‘লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে (চিটাগং কিংস-ফরচুন বরিশাল) সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ করা হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির অধীনে পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষায় ফেল করলে ফের তার বোলিং নিষিদ্ধ হবে। তবে আপাতত সানির বোলিং করতে কোনো বাধা নেই।’
বিসিবির সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সানির বোলিং অ্যাকশনে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়াররা। সেদিন ৪ ওভার বোলিং করে ৪১ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী স্পিনার। ওই ম্যাচের দুই আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল ও রাভিন্দ্রা উইমালসিরিই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
চলতি বিপিএলে সানির আগে বোলিং অ্যাকশনের প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় পরীক্ষা দিয়েছে চিটাগংয়ের আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলামও। চিটাগংয়ের অ্যানালিস্ট নাসু দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে আলিসের অ্যাকশান ত্রুটিমুক্ত ঘোষণা করায় এর আগে বেশ সমালোচনা হয়েছে। সানির ক্ষেত্রে তাই সময় নিচ্ছে বোর্ড।
এর আগে ভারতে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়াররা। পরে পরীক্ষায়ও পাস করতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার। বিশ্বকাপের মাঝপথেই তাই দেশে ফিরতে হয়েছিল তাকে। ওই বছরই বোলিং অ্যাকশন শুধরে স্বীকৃত ক্রিকেটে ফেরেন সানি। তবে ওই টুর্নামেন্টের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা হয়নি তার।