দেশের নারীদের নিয়ে গঠিত প্রথম রোবটিকস দল ‘কোড ব্ল্যাক’। এ বছর ইন্দোনেশিয়ায় আয়োজিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্স, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিটিশন’-এর চতুর্থ আসরে স্বর্ণপদক পেয়েছিল তারা। গত ২১ মে কালের কণ্ঠ’র অবসরে ছাপা হয়েছে তাদের গল্প। শিরোনাম ‘প্রথমবারেই বাজিমাত’।
দলটি সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে।২১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বসেছিল এবারের ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৪’ প্রতিযোগিতার আসর। আয়োজক ইন্দোনেশিয়ান ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইওয়াইএসএ) ও মাহসা ইউনিভার্সিটি। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এবার অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৮টি দেশের ২৪৫টি দল।
সেখানে ‘আইটি অ্যান্ড রোবটিকস’ ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক ও মিকা বিশেষ পুরস্কার পায় বাংলাদেশের কোড ব্ল্যাক।
পাঁচ প্রতিষ্ঠানের আটজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে কোড ব্ল্যাক। সদস্যরা হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদৌস ফাবিন, নুসরাত জাহান সিনহা ও রামিসা হাসান সম্প্রীতি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অ্যাননেশা আবনি হাসান, এমআইএসটির প্রজ্ঞা লাবণী রায়, ভিকারুন্নেসা নূন কলেজের ফাইরুজ বিনতে কবীর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের সানিয়া ইসলাম সারা ও নসরত জাহান নওরিন। এবার তাঁরা বাজিমাত করেছেন ‘গ্রিনবট-হাইড্রক্স’ রোবট দিয়ে।
দলনেতা জান্নাতুল ফেরদৌস ফাবিন বললেন, ‘আমাদের রোবটটি এক প্রকার ডুবোযান। শিল্পখাতে দূষণ কমানো, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সরবরাহ এবং অনুসন্ধানসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে সক্ষম এটি। রোবটটি ব্যবহার করে পানির গুণমান পর্যবেক্ষণ, পানীয় জলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দূষণের উৎস সনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’দেশে ব্যাপক হারে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। সমাজ এখনো নারীদের এই ক্ষেত্রগুলোর জন্য উপযুক্ত মনে করে না।
তাছাড়া এ দেশে একাডেমিক শিক্ষার তুলনায় সহশিক্ষা কার্যক্রমকে খাটো করে দেখার প্রবণতা আছে। শুরুতে স্পন্সর পায়নি কোড ব্ল্যাক। নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশও খুঁজে পাচ্ছিল না। শেষ মুহূর্তে তাঁদের পাশে দাঁড়ায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিজেদের পরিবারের সম্মতি পেতেও বেগ পেতে হয়েছে। দলনেতা জান্নাতুল ফেরদৌস ফাবিন বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের প্রজেক্টটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রজেক্টটিকে বাজারজাতকরণের ইচ্ছা আছে।’
আবারও বাজিমাত করল কোড ব্ল্যাক