দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সোমবার (৭ এপ্রিল) বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। ওই সময় ট্রাম্প জানান, তার বিশ্বাস গাজায় দ্রুতই যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং জিম্মিরা মুক্তি পাবে। তবে ওই সময় তিনি আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা বলেন। ট্রাম্প দাবি করেন, অনেক দেশ গাজার মানুষকে নিতে আগ্রহী। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এরআগে তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মতো সেখানে একটি শান্তিরক্ষী বাহিনী থাকা, গাজাকে নিয়ন্ত্রণ ও এটির মালিকানা থাকা খুব ভালো একটি বিষয় হবে।” তিনি বলেন, “আপনারা যদি তাদের নেন, ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের অন্য দেশগুলোতে নিয়ে যান, অনেক দেশ আছে যারা তাদের নেবে, এবং আপনার (ফিলিস্তিনিদের) একটি স্বাধীনতা অঞ্চল থাকবে, একটি স্বাধীন অঞ্চল যেখানে মানুষকে প্রতিদিন মরতে হবে না।”
গাজাকে নরক হিসেবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “গাজা অসাধারণ একটি জায়গা। কিন্তু সেখানে কোথাও থাকতে চায় না।”
২০০৫ সালে দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এর দুই বছর পর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হামাস। এরপর থেকে সেখানে তাদেরই শাসন চলছিল। ইসরায়েল কেন ২০০৫ সালে গাজা থেকে সেনা ও বসতি সরিয়ে নিয়েছিল সেটিরও সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার মতে, গাজা থেকে শান্তির জন্য ইসরায়েল সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কিন্তু সেই শান্তি আসেনি।
১৯৬৭ সালের ছয়দিনের আরব যুদ্ধের পর গাজা দখল করেছিল ইসরায়েল। এরপর দীর্ঘ ৪০ বছর সেখানে নিজেদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছিল তারা।