বিশেষ শর্ত আরোপ করে ৩৮টি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
শনিবার (০১ মে) থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সমূহ চালুর জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
বেবিচক চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ব্যবস্থাপনার ফলে আটকে পড়া অভিবাসীরা নিজ নিজ গন্তব্য বা কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
যে ৩৮ দেশে পুনরায় ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে ‘এ’ ও ‘বি’ দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ-এ’তে থাকা বাংলাদেশের নাগরিকরা কেবলমাত্র দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। গ্রুপ ‘বি’- এর দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের দেশে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করতে হবে।
‘গ্রুপ-এ’তে রয়েছে ১২টি দেশ। এগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, সাইপ্রাস, জর্জিয়া, ভারত, ইরান, মঙ্গোলিয়া, ওমান, সাউথ আফ্রিকা এবং তিউনিসিয়া।
‘গ্রুপ-বি’তে রয়েছে ২৬টি দেশ। এগুলো হচ্ছে- অস্ট্রিয়া, আজারবাইজান, বাহরাইন, বেলজিয়াম, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, ইরাক, কুয়েত, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুনিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, পেরু, কাতার, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।
প্রজ্ঞাপনে এসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া তালিকা বহির্ভূত দেশসমূহ থেকে আগত যাত্রীদের পিসিআর নেগেটিভ সনদ আনা সাপেক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন কঠোরভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে।
ব্যতিক্রম হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের ৩টি দেশ (কাতার, বাহরাইন ও কুয়েত) ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকে আসা যাত্রীরা বর্তমানে চলমান তিন দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করবেন। পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাকি ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টিন অথবা আইসোলেশন থাকার জন্য বিবেচিত হবেন।