ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল এনডেভারে চড়ে চারজন নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন।
এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তৃতীয়বারের মতো নভোচারী পাঠালো স্পেসএক্স। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে কয়েকশ কোটি ডলারের চুক্তির আওতায় এই মিশন পরিচালিত হচ্ছে। এই মিশনে প্রথমবারের রকেট ও মহাকাশযান পুনরায় ব্যবহার করল স্পেসএক্স।
ক্রু-২ নামের এই মিশনে এবার প্রথমবারের মতো একজন ইউরোপীয় নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মিশনে মোট চারজন নভোচারী গিয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন নাসার নভোচারী- মিশন কমান্ডার শেইন কিমব্রো (৫৩) ও পাইলট মেগান ম্যাকআর্থার (৪৯)। বাকি দু’জনের একজন জাপানি নভোচারী আকিহিকো হোশিদে (৫২) ও মিশন বিশেষজ্ঞ ফরাসি প্রকৌশলী থমাস পেসকুয়েট (৪৩)।
মিশন কমান্ডার শেইন কিমব্রো বলেছেন, ‘মহাকাশে ফিরতে পেরে আমরা খুশি।’
ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে শুক্রবার রকেটটি প্যাড ৩৯এ থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
শনিবার ভোর ৫টা ৮ মিনিটে এনডেভার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়। মহাকাশযানটি তখন ভারত মহাসাগরের ৪২৫ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ছিল।
স্পেসএক্সের সঙ্গে নাসার চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো একটি মহাকাশযান পুনরায় ব্যবহার করে খরচ কমানো।
টেসলার তিনটি সাদা গাড়ি নভোচারীদের লঞ্চপ্যাডে নিয়ে যায়। গাড়িগুলোর লাইসেন্স প্লেটে লেখা ছিল ‘রিসাইকেল’, ‘রিইউস’, ও ‘রিডিউস’। এর মাধ্যমে এই ইঙ্গিত দেয়া হয় যে, ফ্যালকন ৯ বুস্টার ও এনডেভার উভয়ই আগের মিশনে ব্যবহার করা হয়েছিল।
গত বছরের মে মাসে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠায় স্পেসএক্স। এর মাধ্যমে স্পেস শাটল প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পর নয় বছর ধরে রুশ রকেটের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরশীলতার অবসান হয়।
স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক মিশন শুরু হওয়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। তিনি সেখানে বলেন, ‘আমি মনে করি মহাকাশ অন্বেষণের এক নতুন যুগের শুরুতে আমরা রয়েছি।’