আমাদের দেশে পরিচিত ফলগুলোর তালিকায় অন্যতম হচ্ছে আনারস। অনেক সুস্বাদু ও রসালো এই ফলটি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আর এ ফলের বিভিন্ন পুষ্টিগুণের কারণে এটি খেতেও অনেক উৎসাহ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
আনারসের অনেক উপকারিতা ও গুণাগুণ আছে। এটি শরীরের পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও অনেক ভূমিকা পালন করে। এমনকি ওজন কমাতেও অনেক কার্যকরী হচ্ছে আনারস। এটি পুষ্টিতে ভরপুর থাকলেও এতে অনেক কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে।
আপনি ওজন কমাতে চাইলে এবং আপনার মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা মেটাতে বেছে নিতে পারেন সুস্বাদু এ ফলটি।
জানুন যে ৭ কারণে খাবেন আনারস—
১. ক্যালোরি কম থাকে
আনারসে অনেক কম পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। এ ছাড়া এতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এটি পেট ভরা রাখতেও সহায়তা করে। তথ্যমতে, এ ফলের ৮৮ গ্রামে থাকে ৪২ ক্যালোরি। তাই ক্ষুধা নিবারণ করবে এবং পাশাপাশি ওজনও কমাবে এমন খাবার হিসেবে বেছে নিতে পারেন আনারস।
২. কার্বোহাইড্রেট কম থাকে
আনারসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। আর গবেষণা বলছে— কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারগুলো ওজন কমাতে কার্যকরী। তাই ওজন কমাতে এবং আপনার মিষ্টি খাবার খাওয়ার চাহিদা মেটাতে বেছে নিতে পারেন আনারস।
৩. প্রোটিওলাইটিক এনজাইম সমৃদ্ধ
আনারসে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম থাকে। আর এটি হচ্ছে— নির্দিষ্ট ধরনের এনজাইম যা প্রোটিনকে হজমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এটি প্রোটিনের অনুকে ভেঙে ফেলে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৪. হজমে সহায়তা করে
হজমেও অনেক সহায়তা করে আনারস। এতে থাকা ব্রোমেলাইন উপাদান থাকার কারণে এটি প্রোটিন অনুকে ভেঙে মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৫. ফাইবারের উৎস
আনারসে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে। এর ১৬৫ গ্রামে মেলে প্রায় দুই দশমিক তিন গ্রাম ফাইবার। আর এ কারণে এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা রাখবে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করবে।
৬. গ্যাসের সমস্যা কমায়
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, রস ও পানি থাকে। তাই এটি ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা দূর করতেও অনেক কার্যকরী।
৭. ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ম্যাঙ্গানিজ পেটের মেদ এবং বিপাক সিনড্রোমের বিরুদ্ধে কাজ করে। আর আনারসে ম্যাঙ্গানিজ থাকায় এটি পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করে। তাই ওজন কমাতে চাইলে না খেয়ে থাকার পরিবর্তে আনারস খেয়েও ওজন কমাতে পারেন সহজেই।