নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (৬ মে) বিকেলে নগরীর গল্লামারী মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মীসভা বন্ধ করে দেন কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আলাউদ্দীন।
জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় নগরীর গল্লামারী মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের কর্মী সভা হওয়ার কথা ছিল। এজন্য সড়কের একপাশ বন্ধ করে সেখানে স্টেজ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। খবর পেয়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই আয়োজন বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। পরে আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়ারসহ অন্যান্য মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, সড়ক বন্ধ করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করাও নিষেধ রয়েছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে জানালে তিনি উদ্যোগী হয়ে সভা বন্ধের নির্দেশ দেন।
সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস বলেন, আজ সন্ধ্যায় গল্লামারী মোড়ে কর্মীসভা ছিল। সেখানে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং সিটি মেয়রের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। দুপুরে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমতাজুল হক আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন এটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। বিষয়টি জানতে পেরে কর্মীসভা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তা থেকে চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা বলেন, আমরা কর্মীসভা সড়কের একপাশে আয়োজন করি। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন, তা আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর সিটি মেয়রের নির্দেশে সভা বন্ধ এবং মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।