রাজধানীর বাংলামোটরে রাহাত টাওয়ারে লাগা আগুনে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির স্টুডিও, প্যানেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক তিন থেকে চার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে যমুনা কর্তৃপক্ষ।
আগুন লাগার সময় সেখানেই ছিলেন যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বী সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু বলতে পারছি না, শুধু দেখলাম সিলিং থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথমে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। সেই সঙ্গে কিছু মালামাল বের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ধোঁয়ার কারণে আমরা সবাই নিচে নেমে আসি।
রাব্বী আরও জানান, আগুনের কারণে যমুনা টিভির স্টুডিও, ভিডিও এডিটিং প্যানেল, ক্যামেরা, নিউজ রুমে লাইভের বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। যমুনা টিভির এই শাখা অফিসের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমরা কোনো রকমে বাইরে বের হয়ে আসছি।
যমুনা টিভির আরেক সিনিয়র রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আমরা প্রথমে সিলিংয়ে ধোঁয়া দেখতে পাই। ধোঁয়া দেখার পর ভবনে থাকা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দিয়ে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আমরা ১১টা ৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসে ফোন দেই। আগুনে অন্য প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতি না হলেও আমাদের নিউজ রুম, স্টুডিওসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পুড়ে গেছে। তবে আমাদের কোনো সহকর্মী হতাহত হননি।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ ফয়সাল আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসি বা স্টুডিওর বৈদ্যুতিক তারের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগতে পারে। তবে আমরা তদন্ত করে বিস্তারিত জানাবো।
রাহাত টাওয়ারের ১১ তলায় যমুনা টেলিভিশনের অফিস, ৮ম তলায় বিজয় টিভি ও চতুর্থ তলায় বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান।
পিএসএন/এমঅাই