ভুলে যাওয়ার সমস্যা বার্ধক্যের। বয়স বাড়লে অনেক কথাই মনে থাকে না। তবে ইদানীং কম বয়সিদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মানসিক চাপ, অত্যধিক ব্যস্ততা, নিজেকে সময় দিতে না পারা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া— এই কারণগুলোর জন্য অল্প বয়সে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তবে এই প্রবণতাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না একেবারেই। না হলে বার্ধক্যে পৌঁছনোর আগেই ভুলে যাওয়ার সমস্যা বাড়তেই থাকবে। তবে কিছু খাবার নিয়মিত গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনার লোপ পেতে যাওয়া স্মৃতি শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
চলুন সেসব খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ব্লুবেরি
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ব্লুবেরির মতো ফলের তুলনা হয় না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। খিদে পেলে ইচ্ছামতো খাবার না খেয়ে, স্বাস্থ্যকর কিছু বেছে নিতে চান, তা হলে অবশ্যই ব্লুবেরি রাখুন হাতের কাছে। ব্লুবেরি মস্তিষ্ক সচল রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
ডার্ক চকলেট
মানসিক চাপ কমানো, অবসাদ দূর করা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। নিয়মিত এক টুকরো করে ডার্ক চকোলেট যদি রাতে খেতে পারেন, তা হলে উপকার পাবেন। এই জাতীয় চকলেট বার্ধক্য আটকাতেও কার্যকর।
কফি
স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে কফি দারুণ কাজ দেয়। যদিও বেশি ক্যাফিনের প্রভাব শরীরে নানাভাবে পড়তে পারে। শরীরের জলের পরিমাণ কমে যেতে পারে, পেটের নানা গোলমাল দেখা দিতে পারে, বুকে ব্যথা হতে পারে— অত্যধিক পরিমাণে কফি পানের অভ্যাসে এই ধরনের নানা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তা হলেও কফির স্বাস্থ্যগুণও কম নয়।
বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার
বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবার ভিটামিন ‘ই’ এর ভালো উৎস। সঠিক মাত্রার ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে নিয়ম করে খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। আখরোট, কাজু, পেস্তা, চিনা বাদাম এবং কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিলের বীজ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ওট্স
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। পেটের নানা সমস্যা দূর করে। শরীরে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ওট্স। নিয়মিত ওট্স খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তো বটেই, সেই সঙ্গে স্মৃতি শক্তিও বৃদ্ধি করে। ওট্স শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করে। ওট্সের কুকিজ, কেক, বিস্কুট খেতে পারেন।
রঙিন সবজি-সবজি
টমেটো, রাঙা আলু, কুমড়া কিংবা গাজরের মতো সবজিতে অন্যান্য জরুরি উপাদানের সঙ্গেই থাকে ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান। এ উপাদানটি স্নায়ু ভাল রাখতে সহায়তা করে। বিশেষত চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ক্যারোটিনয়েড অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি এই ধরনের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিকাশে প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে সবুজ শাকও।