কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলেই পরামর্শ দেন স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে কি আর স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা যায়। বিশেষ করে অফিসে প্রত্যেকেই মারাত্মক কাজের চাপে থাকে। ৯-৫টা চাকরি করতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকেই। কাজের ডেডলাইন, মিটিং, দায়িত্ব, টার্গেট— সবকিছুর ভিড়ে যেন স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নেই।
কিন্তু এমনটা দিনের পর দিন চলতে থাকলে বিপদ। কর্মক্ষেত্রের বাইরেও যে একটা জগত আছে তা উপভোগ করতে হবে। কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জীবন সাজাতে হবে। তাই অফিস থেকে বাড়ি ফিরে একটু রিল্যাক্স থাকুন। মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন।
ইঁদুরদৌড়ের জীবনে ফিট থাকা যেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অলসতা আরও স্ট্রেস বাড়াচ্ছে। তাই স্ট্রেস কমাতে দিনশেষে একটু হাঁটুন। জিমে গিয়ে এক্সারসাইজ করতে পারেন। জুম্বা করতে পারেন কিংবা নাচতে পারেন। যেকোনো অ্যারোবিক এক্সারসাইজ হেদে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং স্ট্রেস কমায়। জিমে না গেলে ঘরেই কিছুক্ষণ ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
যোগাসন করুন
সারাদিন কাজের যা ধকল গিয়েছে, তা থেকে মুক্তি পেতে ডিটক্সিফিকেশন জরুরি। মস্তিষ্ককে শান্ত করতে মেডিটেশন করুন। রোজ যোগাসন করুন। ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।
শখের কাজ করুন
অফিস থেকে ফিরে আবার অফিসের কাজ নিয়ে বসবেন না। কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন। পছন্দের কাজ করুন। বই পড়ুন, গান শুনুন, বাগানে সময় কাটান। ছবি আঁকতে ভালোবাসলে রঙতুলি নিয়ে বসে পড়ুন। এতে মন ভালো থাকবে।
ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স
সারাক্ষণ কাজ নিয়ে পড়ে থাকবেন না। কাজের সময় কাজ করুন। কাজের শেষে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বেড়াতে যান। ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স করতে শিখুন।
নিজের যত্ন নিন
ভালো থাকতে সেলফ কেয়ার ভীষণ জরুরি বিষয়। স্কিন কেয়ার, নিজের জন্য শপিং করা, স্পা করানো, ঘর গোছানোর মতো অনেক কাজ থাকে। যেসব কাজ করলে স্ট্রেস রিলিজ হয় আর মন ভালো থাকে সেসব কাজ করুন।