আগামী ১ জুলাই থেকে অনলাইনে ডিজিটাল পশুর হাট চালু হচ্ছে। এবার অনলাইনে পশু কেনার পর ক্রেতার পছন্দ না হলে টাকা ফেরত নেয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে এরই মধ্যে দেশের হাটবাজারে কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, অনলাইন প্লাটফর্মে পশুর মোটাতাজা ছবি আপলোড করে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে বিক্রয় করা হলো, কিন্তু কেনার পর সরবরাহ করা পশুর সঙ্গে অনলাইনে আপলোড করা পশুর মিল না থাকলে, ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করে টাকা ফেরত নিতে পারবেন।
মহাসড়কে পশুর ট্রাকে চাঁদা আদায়কারীদের কঠোরভাবে দমনের হুঁশিয়ারি দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
যানজট এড়াতে এবারও মহাসড়কের পাশে যাতে কোনো হাট না বসে সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবেন বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, মহাসড়কে চলাচলে পশুবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যানজটের কারণে পশু আসতে না পেরে হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মহাসড়কে পশু পরিবহনে সমস্যা কিংবা চাঁদাবাজির তথ্য ১৬৩৫৮ হটলাইনে জানানো যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, আমরা জানি কোরবানি এলেই মহাসড়কগুলোতে চাঁদাবাজি বেড়ে যায়। বিভিন্ন পর্যায় থেকে চাঁদাবাজি হয়। ব্যবসায়ী ও খামারিদের সুরক্ষায় চাঁদাবাজদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, এ বছর কোরবানির জন্য প্রায় ৭ লাখ খামারি ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। যার মধ্যে ৪৬ লাখ ১১ হাজার গরু-মহিষ ও ৭৫ লাখের বেশি ছাগল-ভেড়া।
গত বছর অনলাইন প্লাটফর্মে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯ টি পশু বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা।
পিএসএন/এসআই