অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একঘেয়েমি থেকে বা মানসিক চাপের কারণে ঘটে, কিন্তু যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে এটি একটি ক্ষতিকর অভ্যাস হয়ে উঠতে পারে যা বিভিন্ন উপায়ে শরীরের ক্ষতি করতে পারে। বিভিন্ন ধররনের মুখরোচক স্ন্যাকসে অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যালোরিতে পূর্ণ থাকে। যে কারণে এ ধরনের খাবার খেলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো স্থূলতা এবং বিপাকীয় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অতিরিক্ত খাওয়া হলো ওজন বৃদ্ধির কারণগুলোর মধ্যে একটি এবং এটি স্বাভাবিকভাবেই আপনার শরীরকে পূর্ণ খাওয়ার পরেও আরও বেশি করে খাওয়ার তাড়া দিতে পারে। কিছু টিপস এবং কৌশল জেনে নিন যা আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া থেকে বাঁচতে সাহায্য করতে পারে-
খাবার এড়িয়ে যাবেন না
দিনের প্রথম খাবার কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। শুধু প্রাতঃরাশ নয়, দিনের যে কোনো খাবারের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে কেবল অস্বাস্থ্যকর খাবারের জন্য আকুল করে তুলবে। এছাড়াও আপনি যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধার্ত থাকেন, তখন পেট ভরে যাওয়ার পরেও অতিরিক্ত খাওয়ার তাড়া থাকে।
হাইড্রেশন
তৃষ্ণার্ত হওয়াকে ক্ষুধা বলেও ভুল করা যেতে পারে। শরীরের কার্য সম্পাদনের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি প্রয়োজন। এটি কেবল হাইড্রেশনের জন্যই নয়, খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলীর পানি প্রয়োজন এবং পর্যাপ্ত পানি না থাকলে খাবার হজম হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। প্রতিবার খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করুন। এটি তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করে।
লোভ সামলে রাখুন
খাবারের প্রতি লোভ হলে তা সামলে রাখুন। আপনি যখন প্রকৃতপক্ষে ক্ষুধার্ত নন কিন্তু কিছু খেতে ইচ্ছে করে তখন কিছু খেয়ে নেওয়ার আগে বিশ মিনিট সময় নিন। যদি বিশ মিনিট পরও সেই খাবারটি আপনার খেতে ইচ্ছা করে তাহলে বুঝবেন আপনি আসলেই ক্ষুধার্ত। তখন কিছু খেয়ে নিন। কিন্তু যদি তখন আর খেতে ইচ্ছা না করে তাহলে বুঝবেন সেটি ক্ষুধা নয়, খাবারের প্রতি লোভ ছিল।