খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় অ্যাকাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে এসব ভবনে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝোলানো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাতে প্রেস ব্রিফিং করে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি জানানো হয়। বেঁধে দেওয়া আল্টিমেটামের সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা অনির্দিষ্টকালের তালা ঝুলিয়েছেন বলে জানান তারা।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের একটি কক্ষে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সেখানে শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ অবস্থায় রেখে পদত্যাগের দাবিতে মেডিকেল সেন্টারের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে যান।
এর আগে, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে, শিক্ষার্থীরা সেই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে হুঁশিয়ারি দেন।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধের ইস্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। এদিন সকালে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনেও তারা বিক্ষোভ করেন। দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরিয়ে দেয় তাদের। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে আছে যৌথবাহিনী।