দেশের ৫ জেলার ৯ উপজেলায় ৮০০ গ্রুপ নির্বাচন করে ৩২ হাজার কৃষককে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেবে সরকার। বিল্ডিং ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন ভালনারেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ (বিসিআরএল) প্রকল্পের ডিএই পার্টের আওতায় রোববার দিনব্যাপী ভালনারেবিলিটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের ওপর ন্যাশনাল ভেলিডেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রযুক্তিগত সহায়তায় গ্লোবাল এনভায়নমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। মোট ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৮ সালের জুনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) অঙ্গ ৫৬ কোটি টাকা ও বাকি ১০ কোটি টাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
এদিন খামারবাড়ির তুলা ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএই অঙ্গের কর্মমালায় জানানো হয়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চাপাইনবাগঞ্জের নাচোল ও ভোলাহাট, খুলনার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা, রাঙ্গামাটির কাউখালী, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও সদর উপজেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন কৌশলের ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ হবে। উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য মার্কেট লিংকেজ তৈরি করা হবে, ভ্যালুচেইন ম্যাপিং করা হবে।
বিসিআরএল প্রকল্প এবং কনসালটিং ফার্ম সুশীলন লি. ও স্বাবলম্বী সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ভালনারেবিলিটি রিস্ক অ্যাসেসমেন্টের ওপর দিনব্যাপী ন্যাশনাল ভেলিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী।ডিএই’র পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইংয়ের পরিচালক মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রফেসর ড. মো. রমিজ উদ্দিন।
বিসিআরএল প্রকল্পের আওতাধীন ৩টি অঞ্চল, ৫টি জেলা ও ৯টি উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিআরএল প্রকল্পের ডিএই অংশের কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মজুমদার। এনপিডি রাজিনারা বেগম, সুশীলনের লিমিটেডের এমডি মোস্তফা বকুলুজ্জামানসহ ডিএইর বিভিন্ন উইংয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এফএও প্রতিনিধি, প্রকল্পের পরামর্শকরা, বিএআরসির গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।