বিশ্বের পঞ্চম ছোট দেশ সান মারিনো, দেশটির জনসংখ্যা সর্বসাকুল্যে ৩০ হাজারের কিছু বেশি। ৬১ বর্গকিলোমিটারের দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি। ফিফার ফুটবল র্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালে দেখা যায়, র্যাঙ্কিংয়ের সবথেকে বাজে দলও এই সান মারিনোই, তাদের অবস্থান ২১০ তম।
ফুটবল খেলায় জয় কি জিনিস সেটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সান মারিনো। ২০০৪ সালে প্রীতি ম্যাচে লিখেনস্টাইনকে হারানোর পর ২০ বছরে একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি সান মারিনো। ২০ বছর জয়হীন থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে প্রথম জয়ের দেখা পায় দলটি।
গত স্পেটেম্বরে এই লিখেনস্টাইনকে হারিয়েই ২০ বছর পর জয়ের মুখ দেখেছিল সান মারিনো। এরপর আবারও হারের বৃত্তে আটকে গিয়েছিল দলটি। টানা ৩ ম্যাচ হারের পর নিজেদের সবশেষ ম্যাচ ড্র করেছিল দলটি। এরপর গতকাল রাতে মাঠে নেমেছিল উয়েফা নেশন্স লিগ-ডি এর গ্রুপ-১ এর ম্যাচে।
এই ম্যাচেও সান মারিনোর প্রতিপক্ষ ছিল লিখেনস্টাইনই। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম জয় পাওয়া প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এসেই আবার জয়ের দেখা পেয়েছে সান মারিনো। তবে এই জয়ের আরও একটি বিশেষ দিক আছে সান মারিনোর জন্য।
এর আগে দুইবারই সান মারিনো জিতেছিল নিজেদের ঘরের মাঠে। তবে এবার জয় পেয়েছে প্রতিপক্ষের মাঠে। ইতিহাসে এই প্রথম প্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেয়েছে দলটি। একই সঙ্গে এবারই প্রথম এক ম্যাচে তিন গোল করতে পেরেছে সান মারিনো।
লিখেনস্টাইনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে প্রমোশনও পেয়েছে দলটি। ঐতিহাসিকে এই জয়ের ম্যাচে সান মারিনোর হয়ে গোল করেছেন লরেঞ্জো লাজ্জারি, ন্যান্নি ও গোলিনুচ্চি।