স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশে বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালানোর দায়ে হেফাজত ও তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
শনিবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান।এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিন হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা চালিয়েছে, বাড়িঘর, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। যারা স্বাধীনতা এক বিন্দু মানে-বিশ্বাস করে, তারা এটা করতে পারে না। তাদের এদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, নাম হেফাজতে ইসলাম। ইসলামের হেফাজত করার কথা বলে তারা ইসলাম বিরোধী। ইসলামে জঙ্গিবাদ, আগুন দেওয়া সমর্থন করে না। ইসলামকে হেফাজত করবে আল্লাহ, তারা কী হেফাজত করবে? এটা তালেবান রাষ্ট্র নয়, এটা পাকিস্তান নয়। সরকারকে অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি নিয়ে বন্ধ করেছিলো। কেউ স্বাধীনতার বিশ্বাস করলে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি বন্ধ করতে পারে না। বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ষড়যন্ত্র করেছিলো। বিএনপি স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতি সৌধেও যায়নি। এরা ৭১ এর পরাজিত শত্রু। এখন সরকার পতনের নামে হুমকি দিচ্ছে। কিছু দিন আগে বিএনপির নেতা মিনু প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন। এর মানে জিয়া যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো বিএনপি সেটা মনে করিয়ে দিলো।
তিনি বলেন, তারা এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করছে। মোদী যখন প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলো তখন খালেদা জিয়া দেখা করে তার হাত আর ছাড়তে চায় না। তখন মোদী ভালো ছিলো, এখন কেন খারাপ হয়ে গেলো। হেফাজতে ইসলাম জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হয় আর বিএনপি, জামায়াত সমর্থন করে। তারা কোনোভাবে ইসলামের হেফাজত করতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।