সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য নতুন অনলাইন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে যুক্তরাজ্য।
সোমবারের এ ঘোষণার ফলে ফেইসবুক ও টিকটকের মতো বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া কোম্পানিকে তাদের প্ল্যাটফর্মে অপরাধমূলক কার্যক্রম মোকাবেলা ও গ্রাহক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে তাদের কার্যক্রমে বিশাল পরিবর্তন আনতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো অবৈধ প্রচারণা মোকাবেলায় প্রথম কোড অফ প্র্যাকটিস প্রকাশের দাবি করেছে দেশটির গণযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম।
অফকম বলেছে, এসব সাইট ও অ্যাপের ১৬ মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে তাদের প্ল্যাটফর্মে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অবৈধ কনটেন্টের ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে।
ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে তাদের সেসব ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে, বলেছে অফকম। এসব ব্যবস্থার মধ্যে হতে পারে আরও ভাল মডারেশন, অভিযোগের সহজ উপায় ও ইনি-বিল্ট সুরক্ষা পরীক্ষা।
অফকমের সিইও মেলানি ডাউস বলেছেন, নিরাপত্তার কঠোর নজর এখন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর রয়েছে।
“আমাদের প্রথম কোড ও নির্দেশনার অধীনে কোম্পানিগুলোর নির্ধারিত কঠোর নিরাপত্তা মানছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমরা এ খাতের ওপর কড়া নজর রাখব। পাশাপাশি, আগামী বছরের প্রথমার্ধে আমরা আরও কিছু এর সঙ্গে যোগ করব।” – বলেন তিনি।
দেশটির অনলাইন সেইফটি অ্যাক্ট গত বছর আইনে পরিণত হয়েছে। আইনটি শিশু সুরক্ষা ও অবৈধ কনটেন্ট অপসারণের ওপর জোর দিয়ে ফেইসবুক, ইউটিউব এবং টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কঠোর মান নির্ধারণ করে৷
নতুন কোডের অধীনে, প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর অপশন সহজে খুঁজে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে এমন কনটেন্ট, শিশু যৌন নিপীড়ন শনাক্ত করতে হ্যাশ-ম্যাচিং ও ইউআরএল ডিটেকশন নামের স্বয়ংক্রিয় টুল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা যোগ করেছে অফকম।
এসব মেনে চলতে ব্যর্থ হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দুই কোটি ২৩ লাখ ডলার বা বিশ্বব্যাপী কোম্পানির বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
ব্রিটেনের প্রযুক্তি মন্ত্রী পিটার কাইল বলেছেন, নতুন কোডগুলো “অনলাইন নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
“প্ল্যাটফর্মগুলো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে, জরিমানা করা, ওয়েবসাইট অ্যাকসেস বাতিল করতে আদালতের দ্বারস্থ হওয়াসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পুরো ক্ষমতা ব্যবহারে আমাদের সমর্থন থাকবে।”