সিরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ‘জিহাদী কার্যক্রম’ চালিয়ে ফিরে আসা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন লালুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
তাকে শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজত চাওয়া হলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হোসেন মোহাম্মদ রেজা তিন মঞ্জুর করেন।
নগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই রাসিব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার নগরীর দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকার আহলে হাদিস জামে মসজিদ এলাকা থেকে নগরীর দামপাড়া এম এম আলী রোড এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াতকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া যান সাখাওয়াত হোসনে। সেখানে প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ শেষে ইন্দোনেশিয়া গিয়ে ‘জিহাদী’ কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন। ২২ মার্চ ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফিরে আসেন।
সাখাওয়াৎ ইন্টারনেটে বিভিন্ন জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
আনসার আল ইসলামের পলাতক নেতা, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গেও সাখাওয়াতের দেখা হয়েছিল বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান।
২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে তুরস্ক গিয়ে সেখান থেকে অবৈধভাবে সিরিয়া ঢুকেছিলেন সাখাওয়াত। সেখানে ‘হায়াত তাহরীর আরশাম’ নামে একটি সংগঠনে থেকে ভারী অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার ইদলিব শহরে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
সিরিয়া থেকে পুনরায় তুরস্ক ফিরতে ১০ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাখাওয়াত। একাদশ বার তিনি সফল হন। এরপর তুরস্কে কিছু দিন থেকে সাখাওয়াত ২০১৯ ইন্দোনেশিয়াতে চলে যান। সেখানে স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, সন্তানদের নিয়ে যান।