হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি রবিবার বলেছেন, আঞ্চলিক সামরিক উত্তেজনা বাড়ানো ইসরায়েলের জন্য ‘দীর্ঘমেয়াদে সুবিধাজনক’ হবে না। কারণ ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনা সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
তিনি এবিসির দিস উইক শোতে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি না, এই সামরিক সংঘাতের উত্তেজনা বাড়ানো ইসরায়েলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সুবিধাজনক হবে।’ পাশাপাশি তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র এটি সরাসরি তাদের ইসরায়েলি অংশীদারদের বলছে।ইসরায়েল ও ইরান সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দ্রুত ক্রমবর্ধমান আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। কিরবি বলেন, ‘এই উত্তেজনা এখন অনেক বেশি, যা কয়েক দিন আগেও ছিল না।’তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘আমরা এখনো বিশ্বাস করি, এখানে কূটনৈতিক সমাধানের জন্য সময় ও সুযোগ থাকতে পারে এবং সেটি নিয়েই আমরা কাজ করছি।’এদিকে গত রাতে রকেট হামলা ইসরায়েলের উত্তরের বৃহত্তম শহর হাইফার প্রান্তে কিরিয়াত বিয়ালিক পর্যন্ত পৌঁছেছে।
সেখানে একটি ভবন আগুনে পুড়ে যায়, আরেকটি ভবন শেল বা ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেশ কিছু যানবাহন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই হামলার আগে শুক্রবার বৈরুতে একটি বিমান হামলা হয়, যেখানে ৪৫ জন নিহত হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহ কমান্ডাররাও ছিলেন। তার আগে সপ্তাহের শুরুতে লেবাননের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণে ৩৯ জন নিহত ও প্রায় তিন হাজার জন আহত হয়।ইসরায়েল প্রায় এক বছরের আনঃসীমান্ত সংঘর্ষের পর তাদের মনোযোগ হিজবুল্লাহর দিকে সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সংঘর্ষ গত বছরের অক্টোবর মাসে শুরু হয়, যখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে একটি নজিরবিহীন আক্রমণ চালায় এবং সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে।মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই সংঘাতের শুরু থেকে, ৮ অক্টোবর থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে এই সংঘাত বৃদ্ধি না পায় এবং ইসরায়েল ও তার আশপাশে ও পুরো অঞ্চলে এটি বিস্তৃত না হয়।’
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ইসরায়েলের উত্তরের বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেবেন, যারা প্রায় এক বছরের যুদ্ধের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।কিরবি বলেন, উত্তেজনা বাড়তে থাকা যুদ্ধ ‘নিশ্চিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বলা সেই সব মানুষের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে না, যাদের তিনি আবার বাড়িতে পাঠাতে চান’।