তথ্য অধিদপ্তর কর্তৃক বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অনেক সাংবাদিক অন্য অনেক সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করতে সহায়তা করেছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কয়েক ধাপে পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) মোট ৪৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসব কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চয় স্পেসিফিক কারণেই করেছে। অনেক সাংবাদিক গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারের দোসর হয়ে গিয়েছিল। তারা অনেকের কণ্ঠস্বর রোধ করতে সহায়তা করেছেন। অনেক কণ্ঠ কেড়ে নেওয়ার জন্য পথ তৈরি করেছেন। অনেক সহিংসতার পথ তৈরি করেছেন। এগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়ার উচিত।
এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত তিন মাসে কোনো সংবাদপত্রে সরকার বা কোনো এজেন্সি হস্তক্ষেপ করেছে এমন একটি ঘটনার নজির তৈরি হয়নি। তবে যেসব মিডিয়ায় ভুল নিউজ গেছে সেগুলো ধরিয়ে দিয়েছি। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের ওপর কোনো আঘাত এ সরকার সহ্য করবে না।
গত ৩ নভেম্বর ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে প্রতিবেদকের পাশাপাশি পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও (সিইও) রয়েছেন। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর ২০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়। এ নিয়ে মোট ৪৯ সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।