গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ১০ম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল শুক্রবার বিকালে খুলনার সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ গণহত্যা জাদুঘর অডিটোরিয়ামে হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যাঁর অত্যন্ত বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে তাদের শেকড়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, জাতির পিতার অবদান, বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও সংগ্রাম নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জানতে হবে। নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সে জন্যই গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সঠিক ইতিহাস যেন বিকৃত না হয় সে দিকে সকলের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তিনি সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য রাখেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি কবি তারিক সুজাত। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন গণহত্যা জাদুঘর ট্রাস্টের ট্রাস্টি সম্পাদক অধ্যাপক চৌধুরী শহীদ কাদের।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।