যে কোন উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে যদি আপনি সঠিক উপাত্ত না দেন, তাহালে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। তাই উপাত্ত সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে আদমশুমারি করা হয়। সর্বশেষ ২০২২ সালে দেশে জনশুমারি সম্পন্ন করা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক শুমারি চলছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ হুসাইন শওকত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে বয়রা পরিবার পরিকল্পনা ভবনের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যেরভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’। খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যারা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে জড়িত তাদের নৈতিক দায়িত্বের মাধ্যমে সকল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বর্তমান সরকার ১৫ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। এর ফলে মাতৃত্বকালীন মা-শিশু মৃত্যুহার কমে এসেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন, স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ এস এম সামছুল আহসান। বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক বিকাশ কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আকিব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনা ক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ, ফুলতলার দামোদর ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ সহকারী, চুয়াডাঙ্গা সদরের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, বাগেরহাটের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, চুয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ডুমুরিয়া মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, খুলনার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাপসা ও এ্যাডামস-কে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।