বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি ও সরকার পতনে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। জেলায় জেলায় দলটির রাজনৈতিক নেতাদের সফর, বৃহৎ আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ বলেও জানিয়েছেন নীতিনির্ধারকরা। পুলিশ কিংবা ক্ষমতাসীনদের যে কোনো বাধা প্রতিরোধের সক্ষমতা নিয়ে মাঠে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের আন্দোলন কৌশল নিয়ে এ কথা জানান বিএনপি নেতারা।
ক্ষমতার বাইরে ১৪ বছর। নানা ইস্যুতে আন্দোলন করেও হোঁচট খেতে হয়েছে বরাবরই। খুঁড়িয়ে চলা সেই বিএনপি এবার একের পর এক কর্মসূচিতে পুরো দেশে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে এক দফার আন্দোলনে।
সেই এক দফা বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত দেড় মাস আন্দোলন করলেও সাফল্য আসেনি এখনো। তাই এবার ঘুরে দাঁড়াতে কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনার কথা বলছে দলটি। যার জন্য নিজেদের প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বলছেন, বেগম জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতন একই দফায় করতে চান তারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, লাগাতার আন্দোলন হবে। আর এ আন্দোলন বেগবান হবে এটা আমি একদম জোর দিয়ে বলতে পারি। রাজপথে কোনো আন্দোলন রক্ত রঞ্জিত ছাড়া সফল হয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশে সংবিধানবিরোধী বা আইনবিরোধী সরকারের মনোভাবের প্রতিবাদে সারা দেশে আজ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আন্দোলন তো চলছে এবং জিয়ার মুক্তি পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিগত আন্দোলনে বারবার বাধার সম্মুখীন হওয়া বিএনপি এবার প্রতিরোধের কৌশল নিয়ে মাঠের আন্দোলনে মনোযোগী বলেও ইঙ্গিত তাদের।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মামলায় ধরপাকড় তো এ সরকারের প্রথম থেকেই চলছে। এগুলোর মধ্য থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ভয়ভীতি সৃষ্টি করে তারা যেভাবে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে তাদের সে সময় শেষ হয়ে গেছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা একটা পলিটিক্যাল টুর শুরু করেছি যাতে আমাদের দলের মধ্যে একটা দুর্গগড়ার চেষ্টা করছি যেন আমরা যে কোনো পরিস্থিতিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি। প্রতিরোধ গড়ে তুলে পুলিশ বা তাদের পেটোয়া বাহিনী যেই আসুক না কেন তাদেরকে পরাজিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, দেশকে মুক্ত করব।
বিগত সময়ে বিতর্কিত কিছু সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচনার মুখে পড়া দলটি এবার সে রকম কোনো পদক্ষেপ নিলে দলটি জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।