বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) হেলেন লাফেভ।
এ সময় লাফেভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ২০ হাজারে বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।
আগামী দিনে দুই দেশের এই সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
রোহিঙ্গা পুনর্বাসন সংক্রান্ত ধর্ম উপদেষ্টার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জানান, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে যাদের অনেকেই সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রবেশের পর থেকেই তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্যানিটেশনসহ প্রভৃতি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করে আসছে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়েও কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়ে উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা ও সুদৃঢ় করতে তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সকে অবহিত করেন।
এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবকে ঘিরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কেও তাকে বিস্তারিত জানান।
মার্কিন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মানবাধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার অ্যান ডউরটি ও শ্রম বিষয়ক কর্মকর্তা জেমস এ স্টুয়ার্ট উপস্থিত ছিলেন।