প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, রাশিয়ার মতো নির্বাচন করা সম্ভব না। কবে সম্ভব হবে, তাও জানি না।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ৮৬ তম কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেশটিতে সফরে যান তিনি। গত ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমা-এর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সিইসি বলেন, রাশিয়ার নির্বাচনে প্রার্থীদের ঘরে ঘরে প্রচারের বিষয় নেই।
১১টা টাইম জোনে সেখানে নির্বাচন হয়। সব ভোটকেন্দ্র তারা সিসিটিভির আওতায় এনেছে। ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতি তারা ঘরে বসে দেখতে পারেন। পারসেন্টেজ প্রতি মিনিটে দেখতে পারেন।
তিনি বলেন, ৪৯ দেশ থেকে আমরা ২৪৫ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষক গিয়েছিলাম। বাংলাদেশের ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের জানিয়েছি। সেখানে ভোটকেন্দ্র নিয়ে গণ্ডগোল, অভিযোগ ছিল না। নেই ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের সুযোগ।
তাদের ভোট ইভিএম মেশিনে ভোট হয় না, তবে অন্য প্রযুক্তিতে ভোট হয়। পাসপোর্ট দেখে ভোটারকে শনাক্ত করে। ভোট দিলে সঙ্গে সঙ্গে মনিটরে দেখতে পান। সরকারি কর্মচারীরাও অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে পারেন।
রাশিয়ার মতো ভোট করা সম্ভব কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আপাতত রাশিয়ার মতো নির্বাচন সম্ভব না। কবে হবে তাও জানিনা।
তিনি বলেন, সেখানে তিনদিনে ভোট হয়। তিনদিন ব্যালট রাখার মতো নির্বাচনী এলাকায় আমাদের অবকাঠামো নেই। আমাদের ওই সক্ষমতা নেই। ভোটাররাও এসব নিয়ে কেয়ার করে না। শিক্ষার জন্য হোক, সামাজিক কারণে হোক তারা মনে করেই এটা থাকবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা যদি না থাকে তাহলে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে কীভাবে। আস্থা আছে বলেই এতো ভোট পড়ে।