চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যাত্রীবিহীন বনলতা এক্সপ্রেস ফেরার পথে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস মোড়ে একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রাকটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (৪ এপ্রিল) নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা বাইপাস মোড়ের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল করিম। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গিয়েছিল বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সেখান থেকে ফেরার পথে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা রেলক্রসিং এ ট্রাকের সঙ্গে ট্রেনটির সংঘর্ষ হয়। এতে ১০ চাকার পাথর-ভর্তি ট্রাকটি পুরোপুরি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১০০ গজ দূরে ট্রেনটি ঠেলে নিয়ে যায় ট্রাকটিকে। এতে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ট্রেনের ইঞ্জিনের হাওয়ার ভ্যাকুয়াম পাইপ নষ্ট হয়ে পড়ায় ইঞ্জিন চালু হলেও ট্রেন চলতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা চলছে, ট্রেনটি সরিয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার। ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন উদ্ধারের জন্য রওনা দিয়েছে। অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও এসে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। আপাতত ট্রেনটি সরিয়ে কাশিয়াডাঙ্গা রেলগেট রোড ক্লিয়ার করা হয়েছে।’
রিলিফ ট্রেন আসলে বনলতা ট্রেনকে টেনে নিয়ে স্টেশনে নেয়া হবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, ‘আজ ঝড়ের দিন। সেই বিকেল থেকেই বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকার হয়েছিল কাশিয়াডাঙ্গার চারপাশ। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অন্ধকারের ভেতর ট্রাকটি রেলের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে চলে আসে। আর ট্রেনও সেই সময় নিজ গতিতে আসায় এই সংঘর্ষ হয়।’
স্থানীয়রা বলছেন, ‘ট্রাক-ট্রেনের সংঘর্ষে রেললাইনের পাশে থাকা প্রায় ১০ থেকে ১২টি বস্তির ছাপড়া ভেঙে গেছে। তবে এখানে কেউ হতাহত হয়নি।
বনলতা ট্রেনের চালক ছিলেন মো. মনোয়ার ইসলাম এবং সহকারী চালক ছিলেন আসিফ রায়হান। তারা দুজনেই অক্ষত রয়েছেন। তবে ট্রাক ড্রাইভার ও তার হেলপারের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রেল কর্মকর্তা আব্দুল করিম।
স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম আরও জানান, খবর পেয়ে সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এসেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ায় অনেক লোকজনও ভিড় জমিয়েছে। তাই পুলিশও এসেছে ঘটনাস্থলে। ট্রেনটি সরিয়ে স্টেশনে নিতে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।