ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিল রাশিয়া। শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম আরটি এবং স্পুটনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলের অজ্ঞাত এক স্থানে তিন ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক চলে। আলোচনায় রাশিয়াকে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় রাজি করানো হয়। যেন বেসামরিক মানুষজন গোলযোগপূর্ণ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে এবং তুমুল লড়াইয়ের জায়গাগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা ও খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলও পোডোলিয়াক জানান, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
আলোচনায় ক্রিমিয়া ও দোনবাসকে স্বীকৃতি দেওয়ার রুশ দাবি ইউক্রেন মানতে পারেনি বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইলো পডোলোক এক টুইটবার্তায় বলেন, দ্বিতীয় দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনের জন্য যে ধরনের সফলতা দরকার ছিল; তা আসেনি। কেবল মানবিক সংস্থাগুলোর জন্য একটি সফলতা আছে।
তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে নিতে আমরা যৌথভাবে একটি নিরাপদ মানবিক করিডর স্থাপনে একমত হয়েছি। যাতে তীব্র লড়াই চলা অঞ্চলগুলোতে তাদের খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ সহজ হয়।
ইউক্রেনের এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো কোনো স্থানে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার স্বার্থে অস্থায়ী অস্ত্রবিরত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ভবিষ্যতে দুপক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে একমত হয়েছেন। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলাপ করতে চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ায় হামলা চালাচ্ছি না, তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। আপনারা আমাদের কাছে কী চাচ্ছেন? পুতিনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে বসুন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের মতো ত্রিশ মিটার দূরে না।
পিএসএন/এমঅাই