মোংলার মৎস্য ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা কাঁকনের খামারে দ্বিতীয় দফায় তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। এ সময় খামারের ঘর ভাঙচুর করে কয়েক লাখ টাকার মাছ ও অন্যান্য মালপত্র লুটে নেয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। মারধরের শিকার হন কয়েকজন কর্মী। ভুক্তভোগীর ভাষ্য, এ বিষয়ে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও গতকাল বুধবার পর্যন্ত তা নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সানবান্ধা মৌজার পাইস্যাখালী এলাকায় ৮৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে মাছের খামার গড়ে তোলেন গোলাম মাওলা কাঁকন। প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে বৈধভাবে খামারে গলদা-বাগদা চিংড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করে আসছেন। চলতি মৌসুমেও প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।
গোলাম মাওলা কাঁকনের ভাষ্য, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ৭ আগস্ট রাতে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা তাঁর মাছের খামারে প্রথম দফায় হামলা করে। এ সময় ঘর ভাঙচুর ও কর্মচারীদের মারধর করে মাছ ও অন্যান্য মালপত্র লুটে নেয়। ওই সময় পুলিশি কার্যক্রম শিথিল থাকায় তিনি কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো দুর্বৃত্তদের পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক কিছু নেতা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি-ধমকি দেন।
সর্বশেষ সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ওই খামারে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। এ সময় খামারকর্মী আ. হান্নান ফকির (৫০), নবী (৩৮) ও আ. সালামকে (৫২) বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাদের অস্ত্রের মুখে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ঘের থেকে কয়েক লাখ টাকার মাছ, অন্যান্য মালপত্রসহ জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। গোলাম মাওলার ভাষ্য, হামলায় আলামিন হাওলাদারের নেতৃত্বে জাবেদুল, জাকির হাওলাদারসহ ৭-৮ জন অংশ নেয়।
এ বিষয়ে আলামিন হাওলাদার দাবি করেন, ওই খামারে তাদের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া কিছু জমি রয়েছে। ওই জমি বুঝে নিতেই সেখানে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি।
হামলার ঘটনায় মামলা করতে খামারের কর্মচারী আ. হান্নান ফকির বাদী হয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। বুধবার দুপুরে মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, এখনও পর্যন্ত সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি। ফৌজদারি কার্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।