মিয়ানমারের সামরিক জান্তা বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সংখ্যাগুরু অংশের সাথে মতানৈক্যের প্রকাশ করলো। বিশ্ব সম্প্রদায় রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপের নিন্দা করছে এবং মস্কোর ওপর একের পর এক কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
ভয়েস অব আমেরিকা বার্মিজ বিভাগের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারের সামরিক কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র জেনারেল জাও মিন তুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পদক্ষেপের প্রতি মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সমর্থনের কারণ উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন,”প্রথমত, রাশিয়া তার সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করার জন্য কাজ করেছে,”।”আমি মনে করি এটি সঠিক কাজ। দ্বিতীয়ত, বিশ্বকে দেখানো প্রয়োজন যে রাশিয়া একটি পরাশক্তি।”
অভ্যুত্থানের নেতা মিন অং হ্লাইং গত বছরের জুনে রাশিয়া সফর করেছিলেন। এছাড়া বর্মী ও রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। সামরিক কাউন্সিলকে সমর্থন করা কয়েকটি দেশের মধ্যে রাশিয়া অন্যতম। মিয়ানমারের সামরিক কাউন্সিল ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এর অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে এবং মিয়ানমারের অবিসংবাদিত নেতা অং সান সু চি এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের আটক করে।
এরপর থেকেই জাতিসংঘ ও বর্মা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বারবার সামরিক কাউন্সিলের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু রাশিয়া সেই আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে।
অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে মিয়ানমারের সামরিক শাসনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি এবং সংস্থার ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে।
মিয়ানমার ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটি ১৯৬২-২০১১ সাল পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা শাসিত হয় এবং এরপর একটি নতুন সরকার বেসামরিক শাসন ব্যবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছিল। সূত্র: ইরাডি
পি এস/এন আই