পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির উত্তরপূর্বাঞ্চলের গাও শহরের কাছে অস্ত্রধারীদের অতর্কিত হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ও সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালি ও এর প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার সহযোগী স্থানীয় বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এসব দেশে হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে তারা।
শুক্রবার মালির গাও শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরের কোবে গ্রামের কাছে একটি গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাণ বাঁচাতে লোকজন যানবাহন থেকে লাফিয়ে পড়েছে। সেখানে অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন। নিরাপত্তার কারণে নিজের পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, গাওয়ের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মরদেহ রেকর্ড করা হয়েছে। হামলায় সামরিক বাহিনীর অজ্ঞাতসংখ্যক সদস্যও হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই হামলার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে মালির সেনাবাহিনী সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গাওয়ের একজন বাসিন্দা বলেছেন, হামলায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছেন হামলাকারীরা। দেশটিতে প্রায় প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটছে। যে কারণে বেসামরিক যানবাহন সেনাবাহিনীর পাহারায় যাত্রী পরিবহন করছে।
২০১২ সালে মালির তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহের পর দেশটির উত্তরাঞ্চলে ঘাঁটি গড়েন আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকে আল-কায়েদা ও আইএসের অনুসারী স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দক্ষিণের দরিদ্র কবলিত সাহেল অঞ্চলের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম বলেছে, আফ্রিকায় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ওই অঞ্চলে গত জানুয়ারি পর্যন্ত ৩২ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স।