বলিউড কিং খান শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি নিজেও মাদক নিতেন না। বুধবার (২ মার্চ) এমনটা জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (এনসিবি) একটি তদন্তকারী দল। খবর হিন্দুস্থান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরিয়ান যে মাদক নেয়া বা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। আরও জানায়, প্রমোদতরী অভিযানে আরিয়ান খানকে গ্রেফতারের পেছনেও অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী দলটি।
কী কারণে আরিয়ান খানের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়া হয়েছিল, কেনই বা ফোনের বার্তা দেখা হয়েছিল, তদন্তে নেমে এর উত্তর পায়নি এনসিবির দলটি। কারণ, মাদক সংক্রান্ত কোনো বাক্যালাপ ছিল না। দলটির আরও দাবি, এনসিবি যে অভিযান চালিয়েছিল সেটির কোনো ভিডিও রেকর্ডিংও নেই। মানে মামলায় গ্রেফতার হওয়া একাধিক আসামির থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে, এমনটাও দেখাতে পারবে না সংস্থাটি।
এরপরও চূড়ান্ত চার্জশিট দেয়ার আগে তদন্তকারী দল আরও একবার গোটা বিষয় খুঁটিয়ে দেখবে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তদন্তের পাশাপাশি প্রশ্ন ওঠেছে ব্যুরোটির মুম্বাই আঞ্চলিক দলের প্রাক্তন পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ের আচরণ নিয়েও। অভিযান ও অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইতোমধ্যেই একাধিকবার ওয়াংখেড়েকে প্রশ্নও করেছে সিট ও এনসিবির ভিজিল্যান্স দফতর।
গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন এনসিবির একটি দল অভিযান চালায়। ওইদিন কোর্ডেলিয়া ক্রুজ নামের প্রমোদতরীটি থেকে ১৩ গ্রাম কোকেন, পাঁচ গ্রাম মেফেড্রোন, ২১ গ্রাম মারিজুয়ানা এবং ২২টি এমডিএমএ ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ১ লাখ ৩৩ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পিএসএন/এমঅাই