ভারতের গুয়াহাটির সুপার মার্কেট এলাকার একটি হোটেলে নীল ছবির শুটিংস্পট থেকে দুই পুরুষসহ বাংলাদেশি এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- শফিকুল ও জাহাঙ্গীর, যারা দুজনই আসামের বাসিন্দা। তাদের সঙ্গে ২২ বছর বয়সী বাংলাদেশি নারী মীন আখতারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তাররা হোটেলে রুম বুক করে সেখানে অশ্লীল ভিডিও তৈরি করার পরিকল্পনা করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই সন্দেহ ছিল এবং এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মীন আখতার বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, তবে তিনি বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই আসামে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি চাকরির অজুহাতে ভারতে আসেন, কিন্তু পরে তার অনুপ্রবেশের বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে তা পরিষ্কার হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারের পর তারা বৃহত্তর অপরাধী নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্কের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। সে সাথে, পুলিশ ধারণা করছে যে, মীন আখতার হয়তো আরও বড় কোনো অপরাধমূলক চক্রের অংশ ছিলেন, যা এর আগে অন্যান্য জায়গায় এ ধরনের অবৈধ কাজগুলো সম্পাদন করেছে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আর কোনো অপরাধী বা চক্রের তথ্য পায়নি, তবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজে অশ্লীলতার বিস্তার ও আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে।
এ ঘটনায় গুয়াহাটি পুলিশ জানায়, তারা এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অন্য অঞ্চলেও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে প্রশাসনকে সহায়তা করবে।
এর আগে গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাল পাসপোর্ট ব্যবহারের অভিযোগে ভারতে এক বাংলাদেশি নীল ছবির অভিনেত্রী রিয়া বার্দেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ভারতে স্থায়ীভাবে থাকতে জাল পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, রিয়া ও তার তিন সহযোগী জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে উল্লাসনগরে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং অভিযান চালাচ্ছে। রিয়া বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং ভারতীয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রার প্রোডাকশনে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে বলে জানা যায়।