ভারতে ঘোষণা করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। সংসদে বাজেট পেশ করেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মহামারি ও বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের বাজেটটি ভারতীয়দের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি দল হিসেবে বিজেপির কাছেও।
বাজেটে শিল্পের বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর বাড়ানো হয়েছে। আবার শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে। ফলে করের বোঝা কমে সস্তা হয়েছে অনেক পণ্য। একইভাবে দাম বেড়েছে বেশ কিছু দ্রব্যের।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বাজেটে দাম কমতে চলেছে পোশাকের। অন্যদিকে পালিশ করা হিরার ওপর শুল্ক কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাম কমবে হিরা ও হিরার গহনার। দাম কমেছে গ্রহরত্নেরও।
একইভাবে সস্তা হচ্ছে চামড়াজাত দ্রব্য। দাম কমবে চামড়ার জুতো, চামড়ার ব্যাগ, বেল্ট ইত্যাদির।
স্থানীয়ভাবে ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনে শুল্কছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এতে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ও চার্জারের দাম কমবে। তবে দাম বাড়বে হেড ফোন ও স্পিকারের।
কৃষি যন্ত্রপাতির দামও কমবে। পেট্রোপণ্য যেমন কেরোসিন, গ্যাসোলিন, জ্বালানি তেল, ডিজেল জ্বালানি, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসর দামও কমছে। সস্তা হবে বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রপাতিও।
তবে গত বছরের মতোই এবারও অপরিবর্তিতই রয়েছে আয়কর কাঠামো। ডিজিটাল সম্পদের স্থানান্তর বা বিক্রয়ের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেটের উল্লেখযোগ্য বিষয়।
বাজেট কার্যকর হওয়ার পরে এপ্রিল থেকে আমদানিকৃত কিছু জিনিসপত্র ও যন্ত্রাংশ যেমন ছাতার ও মিশ্রিত জ্বালানীর দাম বাড়বে।
দাম বাড়বে আমদানি করা ইমিটেশন জুয়েলারি, সোলার সেল, এক্স-রে মেশিন, বৈদ্যুতিক খেলনার সরঞ্জাম ও সোলার মডিউলসের।
নির্মলা সীতারমনের বাজেট ঘোষণা শেষ হওয়ার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। টুইটারে এ বাজেটকে ‘শূন্য, ফাঁপা’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
একই বক্তব্য রাহুল গান্ধীরও। মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেটকে ‘শূন্য’ উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেছেন, এতে বেতনভুক্ত শ্রেণি, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র, বঞ্চিত, তরুণ প্রজন্ম, কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু নেই।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের মতে, এবারের বাজেট অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। বাজেট ঘোষণায় গ্রামীণ কর্মসংস্থান, প্রতিরক্ষা বা জনসাধারণের জন্য জরুরি অন্য কোনো বিষয়ে অগ্রাধিকারের উল্লেখ নেই।
পি এস/এন আই