ব্রিটেনে নিয়োজিত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও জর মিন বুধবার বলেছেন, লন্ডনে অবস্থিত দূতাবাসে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক অ্যাটাশে দূতাবাসের কর্মীদের ভবন ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি আর দেশটির প্রতিনিধি নয় বলে তাকে জানানো হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে আটকে আছি।’
বুধবারের ঘটনাকে জর মিন ‘লন্ডনের মধ্যে এক ধরণের অভ্যুত্থান’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরণের অভ্যুত্থান সংঘটিত হতে পারে না।’
ছবিতে দেখা গেছে, লন্ডনের মেফেয়ার এলাকায় মিয়ানমারের দূতাবাসের সামনে মিন দাঁড়িয়ে আছেন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন।
জানা গেছে, কর্মীদের দূতাবাসে প্রবেশ করতে না দেয়ার জন্য পুলিশ ডাকা হয়েছে।
এদিকে লন্ডনে বসবাসকারী বার্মিজ কমিউনিটির লোকজন দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছেন।
গত মার্চে অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেছিলেন কিয়াও জর মিন। তিনি তখন বলেছিলেন, মিয়ানমার বিভক্ত হয়ে আছে এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তার মন্তব্য দেশদ্রোহিতা নয়। তিনি মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মিন।
কিয়াও জর মিন একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল। এই মন্তব্যের জন্য ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব মিনের প্রশংসা করেছিলেন। রাব তার ‘সাহস ও দেশপ্রেমের’ প্রশংসা করেন।
উপ-রাষ্ট্রদূত চিট উইনকে লন্ডনের কূটনীতিকের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কূটনৈতিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের বর্তমান অবস্থা পরিষ্কারভাবে জানার চেষ্টা করছে।