ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেখানে যেতেই চিত্রটাই বদলে গেল।সুপার টুয়েলভের পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে মাহমুদউল্লাহর দল। এর আগে প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় খালি হাতে ফিরলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা নেই মাহমুদউল্লাহর।
পুরো আসরে দলের ব্যর্থতার দায় অধিনায়কের ওপর বর্তায়। নিজে কিছু ম্যাচে ভালো খেললেও সব মিলিয়ে এই ফরম্যাটেই খারাপ সময় যাচ্ছে রিয়াদের। এবার কি তাহলে বিদায় বলার সময় এসে গেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বললেন, ‘না। এই মুহূর্তে ওরকম কিছু (টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর) চিন্তা করছি না। ’
নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অধিনায়কত্বের বিষয়টা আমার হাতে নেই। এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমার তরফ থেকে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি দলটাকে আগলে রাখার। চেষ্টা করেছি পারফরম্যান্স আদায় করার। সম্ভবত আমার অধিনায়কত্বে ঘাটতি ছিল। পারফরম্যান্স আদায় করতে পারিনি। অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত আসলে বোর্ড দেবে। এটা আমার হাতে নেই। ’
এর আগে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫ ওভার ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অজিরা।
মূল পর্বে এটি টাইগারদের টানা পঞ্চম হার। এর আগে প্রথম পর্বে ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সেখানেও স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপযাত্রা শুরু হয়েছিল মাহমুদউল্লাহদের।
অজিদের কাছে বিশাল পরাজয়ের পর মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এমন ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সের পর বেশিকিছু বলা কঠিন। বেশকিছু জায়গায় বিশেষ করে আমাদের ব্যাটিংয়ে আরও কাজ করতে হবে। আমরা অন্যতম সেরা ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলেছি। কী ভুল হয়েছে, তা দেশে ফিরে আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে-তে ভালো করতে হবে, বিশেষ করে যেহেতু আমাদের তথাকথিত হার্ড-হিটার নেই। ফলে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু মুহূর্ত দরকার, যা আমাদের প্রায় নেই বললেই চলে।