বাংলাদেশের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বি-টপসি প্রোগ্রাম চালু করতে যৌথ উদ্যোগের ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে আগামী প্রজন্মের উপযোগী সুদক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলী তৈরিতে এ প্রকল্প সহায়ক শক্তি হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। জাপানের মর্যাদাপূর্ণ ‘টপসি’ প্রশিক্ষণ কোর্সের আদলে বাংলাদেশে বি-টপসি (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম সাজানো।
আইসিটি খাতে দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলাই এ প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য। যার মাধ্যমে মিড-ক্যারিয়ারে থাকা হাজারের বেশি আইসিটি পেশাজীবী সরাসরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষণ দেবেন খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করবে জাইকার ‘প্রজেক্ট ফর আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রমোশন অব দি আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড নিউ ইনোভেশন্স’।বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বি-টপসি উদ্যোগের কথা জানান।
জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্সে (এনআইআই) টপসি প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রফেসর ড. হোনিদেন শিনিচি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের অভিবাদন জানান।জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর। আর এ উদ্যোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সময়োপযোগী ভিত্তি গড়বে বি-টপসি প্রোগ্রাম। সারাবিশ্বে আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ প্রশিক্ষণ সময়োপযোগী।