রমজান এলেই একশ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ বিষয়ে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩ এপ্রিল) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, বাজার অস্থির করার যেকোনো অপপ্রয়াস সরকার মেনে নেবে না। কোনো ধরনের সিন্ডিকেটের কাছে সরকার বাজার ব্যবস্থাকে জিম্মি হতে দেবে না।
তিনি বলেন, অহেতুক মূল্যবৃদ্ধি ও মজুতদারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক। ইতোমধ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বিএনপির নেতিবাচক মনোভাব করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে মিডিয়ায় ঝড় তুলছে। সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচার করছে। তারা সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে দেখে না।
কাদের বলেন, একবার লকডাউন নিয়ে অপপ্রচার, আবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যাচার, কখনো কখনো সরকারের ব্যর্থতা খোঁজে। এটিই এখন বিএনপির রোজনামচা। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হয়েও দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ন্যূতম মূল্যবোধও তারা হারিয়ে ফেলেছে।
আন্দোলনের নামে জনগণের ওপর প্রতিশোধ নেয়াই এখন বিএনপির কৌশল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট আর নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি এবং তার সহযোগীরা যে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে তার জন্য বিএনপিকেই জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এ সময় সড়ক পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেকে কথা দিয়ে কথা না রেখে দূরপাল্লায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। দুর্যোগের মধ্যে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছেন। এটি করবেন না।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরা জরুরি বলে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনীহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। নিজেদের সুরক্ষায় সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই এখন মূল কাজ।
ওবায়দুল কাদের জানান, করোনার বিরাজমান পরিস্থিতিতে সরকার সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানাবে। শিল্প কলকারখানা সর্তসাপেক্ষ চালু থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।