বটিয়াঘাটার উত্তর শৈলমারী হোগলবুনিয়া খেয়াঘাট নামক স্থানে ট্রেপল এস (শেখ শরিফুল ইসলাম সুমন) ব্রিকস নামের একটি অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। বুধবার খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আছিফুর রহমানের নেতৃত্বে ও জেলা কার্যালয়ে সমন্বয়ে এবং বটিয়াঘাটা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা হয়।
অধিদপ্তরের সূত্র মতে জানা যায়, সুমন নামের এক ব্যক্তি বে-আইনিভাবে নদীর সরকারি জায়গা দখল করে বেঁড়িবাধ দিয়ে ইট ভাটা (পাঁজা) গড়ে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে সুমন লাইসেন্স বিহীন অবৈধভাবে বিভিন্ন জালানি কাঠ পুড়িয়ে ইট প্রস্তুত করছে। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে। এ সময় ব্রিকসের মালিক বা কোন কর্মচারিকে পাওয়া যায়নি। অভিযানের সংবাদ শুনে সকলে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে ইট ভাটায় প্রস্তুত প্রায় ৫০ হাজার পাকা ইট, এক হাজার মন জ্বালানি কাঠ ও ইট প্রস্তুতের সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ ১নং জলমা চেয়ারম্যান বিধান রায়ের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো: আবু সাঈদ বলেন, ইট ভাটা আইন-২০১৯ এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, অনুমতি ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত বে-আইনি। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করি। এখানে বেআইনিভাবে তিনি ভাটা স্থাপন করেছে এবং ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করছেন যা দৃশ্যমান ও আইন বিরোধী। আমরা জব্দকৃত মালামাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়েছি।