৬০ বছরের কম বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেয়া স্থগিত করেছে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর বেশ কয়েকজনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। খবর রয়টার্সের।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরই ফিলিপাইন সাময়িক সময়ের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিক স্থগিত করেছে।
ফিলিপাইনের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের প্রধান রোল্যান্ডো ইনরিক ডোমিঙ্গো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাদের দেশে এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পর কারও দেহে রক্ত জমাট বাঁধার মতো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
তিনি বলেন, সাময়িকভাবে এই ভ্যাকসিনের ব্যবহার বন্ধ রাখার মানে এই নয় যে এটি অনিরাপদ বা অকার্যকর। এর মানে হচ্ছে আমরা ফিলিপাইনের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনেই করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় দ্রুত গতিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ২৫ হাজার ৬শ ভ্যাকসিনের ডোজ গ্রহণ করেছে যা মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ। এছাড়া বেসরকারিভাবে কেনা আরও ২৬ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ আগামী মাসেই সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, ফিলিপাইনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৬। এর মধ্যে মারা গেছে ১৪ হাজার ১১৯ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬৮ জন। বর্তমানে সেখানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৯।