বোলিং নির্ভর দল চট্টগ্রাম কিংসের। পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলারের সঙ্গে আছেন এক পেস অলরাউন্ডারও। বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ওই বোলিং দিয়ে খুলনা টাইগার্সকে আটকে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটার সিমরন হেটমায়ারের ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের ভালো পুঁজি পেয়ে গেছে মেহেদী মিরাজের খুলনা।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বড় ধাক্কা খায় খুলনা। টানা তিন ম্যাচে জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আসা খুলনা ৪২ রানে হারায় ৪ উইকেট। একে একে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ (২), তিনে নামা অ্যালেক্স রস (০), ওপেনার নাঈম শেখ (১৯) ও আফিফ হোসেন (৮)।
ধস সামাল দিতে ক্রিজে সেট হয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হেটমায়ার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সফল হন তারা। ৭৩ রানের কার্যকরি এক জুটি দেন দু’জন। অঙ্কন হাত খুলে খেলার চেষ্টা করতেই আউট হন। চলতি বিপিএলে স্লগে দারুণ ব্যাটিং করা অঙ্কন ৩২ বলে ৪১ রান করেন। তিনটি ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
শেষ ৩ ওভার ঝড়ো ব্যাটিং করেন এলিমিনেটর পর্বে খুলনার যোগ দেওয়া হেটমায়ার। তিনি ৩৩ বলে ৬৩ রান করে ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন। তার ব্যাট থেকে চারটি ছক্কার সঙ্গে ছয়টি চারের শন আসে। শেষে জেসন হোল্ডার ৫ বলে ১২ রান যোগ করেন।
চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান দীর্ঘদেহি বাঁ-হাতি পেসার বিনোরা ফার্নান্দো। রহস্য স্পিনার খ্যাত আলিস ইসলাম ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তবে শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ স্লগে রান দেওয়ায় খরুচে হয়ে যান। শরিফুল ৪ ওভারে ৫১ রান খরচা করে ১ উইকেট পান। খালেদ ৩ ওভারে ২৯ রান খেয়ে নেন ১ উইকেট। ১৯তম ওভারে বিনোরা ২১ রান দেন, শেষ ওভারে শরিফুল দেন ১৭ রান।