গত বছর অক্টোবরে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির ৮৩ নেতা-কর্মী। এ মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহ তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সেখানে বলা হয়, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হলেও এজাহারে নাম থাকা ও গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জিন্নাত গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর আদালত ওই আদেশ দিলেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার।
অব্যাহতি প্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, আহমেদ খান, জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। সেদিন সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। শান্তিনগর, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং দৈনিক বাংলা মোড় এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। হামলা চালানো হয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে।
ওই ঘটনায় রমনা মডেল থানার তৎকালীন এসআই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করেন।
নাশকতার আরও এক মামলায় ৩৭ জনকে অব্যাহতি: পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর শাহবাগ থানায় করা আরেক নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৩৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন একই আদালত।